যেমন:
১. আপনার সতিচ্ছেদ chastity পরীক্ষা করার জন্য একটি আয়না নিন। এবার দু পা ফাঁক করে আঙ্গুলের সাহায্যে ভঙ্গাকুর দুই দিকে সরিয়ে ধরুন। যদি ছোট রিং আকারের একটি পর্দা দেখতে পান, তবেই বুঝবেন আপনার সতীচ্ছেদ ঠিক আছে।
২. সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে গেলে ব্যাথা হয়, রক্তপাত হয়। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, কবে আপনার সতীচ্ছেদ ফেটেছিল।
৩. মেয়েদের সতীচ্ছেদ যে শুধু হম্তমৈথুন ও ( sex ) সহবাসের ফলে নষ্ট হয় তা নয়। চাপের কোন কাজ করলে, সাঁতার কাঁটা, গাছে উঠা, খেলাধূলা, ইত্যাদি কারণেও ছিন্ন হতে পারে সতীচ্ছেদ।
সতীচ্ছেদ সম্পর্কিত বাস্তব বিষয়গুলি হলো –
১. প্রত্যেক ১০০০ মেয়ে বাচ্চার মধ্যে কমপক্ষে ১ জন ভুমিষ্ট হয় সতিচ্ছেদ ছাড়াই।
২. ১০০ জনের ভিতর ৪০ জন নারী প্রথম বার মিলনে রক্তপাত হয় না।
৩. সাঁতার, খেলাধূলা বা অন্য কোন কারণে সতীচ্ছেদ নষ্ট হতে পারে।
৪. সতীচ্ছেদে একটি ছোট ছিদ্র থাকে। যেটি ( periods ) মাসিকের সময় period pain ও রক্ত ধারা প্রবাহিত হওয়ার জন্য স্বভাবিক থেকে একটু বড় হয়।
৫. যদি টেমপন’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে।
৬. সতীচ্ছেদ ছিঁড়লেই যে রক্ত ক্ষরণ হবে এমন বাধ্যবধকতা নেই। রক্তক্ষরণ ছাড়াই সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে।
মেয়েদের সতীত্ব ( chastity ) ঠিক আছে কিনা এ প্রশ্ন করার আগে নিজের সতীত্ব ঠিক আছে কিনা ভেবেছেন? পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজ ব্যবস্থায় নারীর সতীত্ব ঠিক কিনা এ প্রশ্ন করা নারীকে অপমান করার শামিল। পুরুষ বা নারীর সতীত্ব ঠিক কিনা এটা নিজেরা পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস থেকে ঠিক করে নিন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ যৌন উত্তেজনায় কামুক হয়ে একটা ছেলেরা হস্তমৈথুন বা মাষ্টারবেইট করে কিন্তু তার মানে এই নয় যে সে কোন মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ঠিক তেমনি মেয়েরাও যৌন উত্তেজনায় কামুক হলে নিজের ফিঙ্গার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দিতে পারে, ফলে তার সতিচ্ছেদ পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে মেয়েটি কোন ছেলের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। সুতরাং স্রষ্টার উপরে বিশ্বাস রেখে বিয়ে করে ফেলুন।