পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া
যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া প্রায় দুই সপ্তাহ লন্ডনে থাকতে পারেন। তাই রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে তাড়াহুড়া করা হচ্ছে না। তবে খালেদা জিয়ার এই সফরে দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত বুধবার সকালে খালেদা জিয়া লন্ডনে আসেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, প্রায় আট বছর পর খালেদা জিয়া তাঁর পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে পেয়েছেন। এর মধ্যে আছে ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের শূন্যতা। সব মিলিয়ে আবেগঘন পারিবারিক মিলন। তবে আপনজনদের কাছে পেয়ে তিনি বেশ আনন্দিত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিকে আগে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি যেকোনো সময় চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। পশ্চিম লন্ডনের একটি হোটেলে বুকিং রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য। তবে তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসা ও হোটেলে মিলিয়ে অবস্থান করবেন।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে আসেন। সেই থেকে স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছেন। খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান কয়েক দিন আগেই লন্ডনে চলে এসেছেন। দীর্ঘ আট বছর পর খালেদা জিয়ার তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার কথা রয়েছে।
বিবিসি বাংলা গতকাল রাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আশা করছেন, লন্ডনে খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে আলোচনা করে দল পুনর্গঠনে উদ্যোগ নেবেন। দল থেকে চেয়ারপারসনের এই সফরকে চিকিৎসার জন্য বলা হলেও খালেদা জিয়া দেশত্যাগের আগে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে দল পুনর্গঠন করা হতে পারে।