ঘড়ির তালে জীবন চলে
সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
| প্রিন্ট সংস্করণ
ডা.
সামন্ত লাল সেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান
সমন্বয়কারী। রঙিন পোশাক পরতে পছন্দ করেন। অবসরে পুরোনো দিনের গান শোনেন।
তিন বেলা পাতে চান ডাল-ভাত।
তাঁকে দেখলে মনে হবে রাসভারী মানুষ। কিন্তু রোগীদের কাছে ঠিক উল্টো। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন কথাটি গুছিয়ে বললেন এভাবে—‘রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। অনেকে আমাকে দেখে আশ্চর্য হয়েছেন। ঠিক যেমনটি ভেবে চেম্বারে এসেছেন, আমি নাকি তার বিপরীত!’
সামন্ত লাল সেনের দিন চলে ঘড়ির কাঁটা ধরে। ছোটবেলা থেকে মেনে চলেছেন বইয়ে পড়া চিরন্তন প্রবাদ বাক্যটি—আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ...। ভোরে ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রার্থনা পর্ব সারেন। কখনো বেরিয়ে পড়েন হাঁটতে। এরপর প্রস্তুতি নেন হাসপাতালে যাওয়ার। ঢাকার ইন্দিরা রোডে নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলতে থাকেন, ‘কর্মজীবনে আমি কখনো দেরি করিনি। এখনো অফিসে যাওয়ার সময় হিসাব করেই বাসা থেকে বেরোই।’ গাড়িতে বসেই তিনি চোখ বুলান দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাতায়। সার্বক্ষণিক সঙ্গী আইপ্যাডে খোঁজ করেন হালনাগাদ তথ্য। এই যন্ত্রটির একটি অ্যাপ প্রতিদিন ব্যবহার করেন! সেটি হলো পেেসন্স খেলার অ্যাপ।
‘হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আইপ্যাডে একবার পেেসন্স খেলার চেষ্টা করি। এটা আমার প্রতিদিনের রুটিন। যেদিন পেসেন্স মিলে যায়, মনে হয় দিনটি আজ ভালো যাবে!’ মুখে স্বভাবসুলভ হাসি ধরে রেখে বলতে থাকেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
রঙিন পোশাক পরতে তিনি পছন্দ করেন। প্রিয় পোশাক টি-শার্ট, শার্ট আর জিনস। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবি পরেন। তবে পোশাক বা নিত্যব্যবহারের আনুষঙ্গিক জিনিস কেনার ব্যাপারে তাঁর বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। কারণ, তাঁর প্রয়োজনীয় সবকিছু পরিবারের সদস্যরাই কিনে থাকেন। ‘আমার রুচি সম্পর্কে মেয়ে নবনীতা ভালো জানে। পোশাকগুলো বেশির ভাগ মেয়েই কিনে দেয়।’ বলেন সামন্ত লাল সেন।
পছন্দের খাবারের তালিকা সাদামাটাই। ভাত, ডাল, বোয়াল মাছ—এই হলো তাঁর প্রিয় খাবার। দিনের তিন বেলায়ই ভাত চান পাতে। তাঁর ভাত-প্রীতি এমনই, দেশের বাইরে গেলেও রেস্তোরাঁগুলোতে বাঙালি খাবার খুঁজে বেড়ান।
কাজের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ফুরসত তিনি খুব কমই পান। তবে সময় পেলে চলে যান প্রিয় শহর লন্ডনে। যেখানেই যান, ভ্রমণে পুরো পরিবারকে সঙ্গে রাখেন সব সময়।
ফুটবলে মোহামেডানের গোঁড়া সমর্থক সামন্ত লাল সেন। অবসরে বাসায় ক্রিকেট খেলা দেখেন নিয়মিত। শোনেন পুরোনো দিনের গান। এখনো গুনগুন করেন সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার গানও। এ ছাড়া কোথাও কীর্তন আয়োজন হচ্ছে জানলে হাজির হন সেখানে।
তাঁকে দেখলে মনে হবে রাসভারী মানুষ। কিন্তু রোগীদের কাছে ঠিক উল্টো। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন কথাটি গুছিয়ে বললেন এভাবে—‘রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। অনেকে আমাকে দেখে আশ্চর্য হয়েছেন। ঠিক যেমনটি ভেবে চেম্বারে এসেছেন, আমি নাকি তার বিপরীত!’
সামন্ত লাল সেনের দিন চলে ঘড়ির কাঁটা ধরে। ছোটবেলা থেকে মেনে চলেছেন বইয়ে পড়া চিরন্তন প্রবাদ বাক্যটি—আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ...। ভোরে ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রার্থনা পর্ব সারেন। কখনো বেরিয়ে পড়েন হাঁটতে। এরপর প্রস্তুতি নেন হাসপাতালে যাওয়ার। ঢাকার ইন্দিরা রোডে নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলতে থাকেন, ‘কর্মজীবনে আমি কখনো দেরি করিনি। এখনো অফিসে যাওয়ার সময় হিসাব করেই বাসা থেকে বেরোই।’ গাড়িতে বসেই তিনি চোখ বুলান দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাতায়। সার্বক্ষণিক সঙ্গী আইপ্যাডে খোঁজ করেন হালনাগাদ তথ্য। এই যন্ত্রটির একটি অ্যাপ প্রতিদিন ব্যবহার করেন! সেটি হলো পেেসন্স খেলার অ্যাপ।
‘হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আইপ্যাডে একবার পেেসন্স খেলার চেষ্টা করি। এটা আমার প্রতিদিনের রুটিন। যেদিন পেসেন্স মিলে যায়, মনে হয় দিনটি আজ ভালো যাবে!’ মুখে স্বভাবসুলভ হাসি ধরে রেখে বলতে থাকেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
রঙিন পোশাক পরতে তিনি পছন্দ করেন। প্রিয় পোশাক টি-শার্ট, শার্ট আর জিনস। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবি পরেন। তবে পোশাক বা নিত্যব্যবহারের আনুষঙ্গিক জিনিস কেনার ব্যাপারে তাঁর বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। কারণ, তাঁর প্রয়োজনীয় সবকিছু পরিবারের সদস্যরাই কিনে থাকেন। ‘আমার রুচি সম্পর্কে মেয়ে নবনীতা ভালো জানে। পোশাকগুলো বেশির ভাগ মেয়েই কিনে দেয়।’ বলেন সামন্ত লাল সেন।
পছন্দের খাবারের তালিকা সাদামাটাই। ভাত, ডাল, বোয়াল মাছ—এই হলো তাঁর প্রিয় খাবার। দিনের তিন বেলায়ই ভাত চান পাতে। তাঁর ভাত-প্রীতি এমনই, দেশের বাইরে গেলেও রেস্তোরাঁগুলোতে বাঙালি খাবার খুঁজে বেড়ান।
কাজের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ফুরসত তিনি খুব কমই পান। তবে সময় পেলে চলে যান প্রিয় শহর লন্ডনে। যেখানেই যান, ভ্রমণে পুরো পরিবারকে সঙ্গে রাখেন সব সময়।
ফুটবলে মোহামেডানের গোঁড়া সমর্থক সামন্ত লাল সেন। অবসরে বাসায় ক্রিকেট খেলা দেখেন নিয়মিত। শোনেন পুরোনো দিনের গান। এখনো গুনগুন করেন সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার গানও। এ ছাড়া কোথাও কীর্তন আয়োজন হচ্ছে জানলে হাজির হন সেখানে।