September 19, 2015

আপনার কি লম্বা চুল চাই?

আপনার কি লম্বা চুল চাই?

|

ধৈর্য ধরে যত্ন নিন, তবেই পাবেন লম্বা চুল। মডেল: শ্রাবণ্য, ছবি: নকশাচুল লম্বা করতে চাইছেন? কিন্তু রাতারাতি তো তা বাড়বে না। ধৈর্য ধরতেই হবে, আর সেই সঙ্গে সঠিক যত্নও নিতে হবে।
চুলের আগা ফেটে গেলে তা কেটে ফেলতে হয়। কারণ, আগা ফাটা থাকলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে না। আবার চুল ঝরতে থাকলেও তার বৃদ্ধি হয় না। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুলের যত্ন নিতে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে। তবেই চুল সুস্থ থাকবে, আর লম্বা হবে।
ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাশেদ মোহাম্মদ খান জানালেন কী কী কারণে চুল পুষ্টিহীন হয়ে যায় এবং ঝরতে থাকে।
  • হরমোনের সমস্যা থাকলে চুল পড়তে পারে। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার না খেলে চুল পুষ্টি পায় না।
  • অতিরিক্ত হারে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করলে (ক্রাশ ডায়েট) চুল ঝরে।
  • সময়মতো ও পরিমাণমতো না ঘুমালে চুল পড়ে।
  • চুলে অতিরিক্ত মাত্রায় তাপ (হিট) দিলে আগা ফেটে যায় বা চুল ভেঙে পড়তে থাকে। ফলে চুল বাড়ে না।
  • খুব বেশি ক্লান্তিও চুল পড়ার কারণ।
রাশেদ মোহাম্মদ খান পরামর্শ দিলেন সবজি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ অর্থাৎ আঁশ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে, যেন চুল পুষ্টি পায়।
একই কথা বললেন হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তিনি বললেন, বাইরে ও ভেতর দুই দিক থেকেই চুলের যত্ন নিতে হয়। অর্থাৎ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত যত্নও নিতে হবে চুলের। ডিম, দুধ, ছোট মাছ, ওমেগা–৩ যুক্ত সামুদ্রিক মাছ, আমলকী ও ভিটামিন ‘ই’ যুক্ত খাবার চুলে পুষ্টি জোগাতে সবচেয়ে উপকারী। সপ্তাহে অন্তত এক দিন তেল মালিশের পর চুলে প্যাক লাগাতে পারেন। তবে চুলের গোড়া মজবুত রাখার জন্য সপ্তাহে তিন দিন নিয়ম করে তেল মালিশ করুন। যাদের চুলে খুশকি বা মাথায় ফুসকুড়ি আছে, তাঁরা নারকেল তেলের সঙ্গে এক চিমটি কর্পূর মিশিয়ে নিতে পারেন।
রাহিমা সুলতানা বলেন, চুল সুস্থ থাকলে তবেই না তা বৃদ্ধি পাবে। আর চুল সুস্থ রাখার জন্য কিছু ঘরোয়া প্যাকের উপায়ও বলে দিলেন তিনি।
  • ডিম, টক দই, মেথি ও পাকা কলার প্রোটিন প্যাকটি চুলের জন্য বেশ ভালো।
  • টকদইয়ের সঙ্গে ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী, বহেরা) মিশ্রণ চুল পড়া রোধ করে।
  • আমলকীর রস চুলের জন্য ভালো। চাইলে এর সঙ্গে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে চুল নরম হবে আবার কন্ডিশনারের কাজও করবে।
  • পেঁয়াজের রস কখনোই সরাসরি চুলে লাগাতে হয় না। পেঁয়াজের অ্যাসিড চুলের ক্ষতি করতে পারে। তাই এর সঙ্গে মেথি ও টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন।
  • শুষ্ক বা রুক্ষ চুলে দুধ ও মধুর প্যাক লাগাতে পারেন।
  • সপ্তাহে এক দিন যেকোনো একটি প্যাক মাথায় লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। রিঠা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন, শ্যাম্পুর পরিবর্তে। কন্ডিশনার হিসেবে মেথি গুঁড়া দুই থেকে তিন ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা লেবুর রস, চায়ের লিকার ও পানি একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করে নিতে পারেন।