বাংলাদেশের কিশোরদের ১১ গোল হজম দুই ম্যাচে
আমিরাতের গোল বন্যা শুরু ১২ মিনিটে। মোহমাদ আল খামিসের সহায়তায় আবদুল্লাহ আল নাকবির আলতো টোকায় প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় আমিরাত। এরপর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গোলের ব্যবধান। ১৮ মিনিটে ফাঁকায় দাঁড়ানো মাজেদ রশিদের শট, ২২ মিনিটে কর্নার থেকে সুলতান সাইদের হেড, ৩৯ মিনিটে আলী সালেহ আমরোর দারুণ ফিনিশিং। বিরতির আগেই স্কোরলাইন ৪:০।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বাংলাদেশ খানিকটা লড়াই চালিয়েছিল। ৫২ মিনিটে একমাত্র গোলটির দেখা পায় বাংলাদেশ। সারোয়ার জামান নিপুর সহায়তায় মিডফিল্ডার শাওনের গোলটাই সৈয়দ গোলাম জিলানীর দলের একমাত্র সান্ত্বনা। তবে সে গোলের ‘আনন্দ’ মিইয়ে যেতেও সময় লাগেনি। ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন মাজেদ। সাত মিনিট পর ৩৫ গজি শটে দুর্দান্ত এক গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আমিরাত অধিনায়ক মাজেদ।
ফিটনেস, দক্ষতা ও খেলার মানে দুদলের পার্থক্য স্পষ্ট। আমিরাতের পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত ফুটবল শৈলীর বিপরীতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের এলোমেলো খেলা সত্যি চোখের বড় যন্ত্রণা! লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না ম্যাচজুড়ে। আমিরাত যেখানে নির্ভুল পাসে বারবার আক্রমণ রচনা করছে, বাংলাদেশ সেখানে ভুল পাসে বারবার বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কোথায়, কীভাবে ট্যাকল করতে হবে, সেটিও যেন অজানা বাংলাদেশের কিশোরদের। আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতবে, এমন আশা হয়তো সমর্থকেরাও করেনি। তবে যে দলটি মাত্র কদিন আগেই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করল, তাদের কাছে একটু লড়াই আশা করেছিল। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইয়ে তার আর হলো কোথায়!