November 22, 2015

ফাঁসি হলেও যে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত কথাগুলোর মধ্যে দিয়ে ‘বেঁচে’ থাকবেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী

image_140511_0

ফাঁসি হলেও যে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত কথাগুলোর মধ্যে দিয়ে ‘বেঁচে’ থাকবেন সাকা !



ভিন্ন রিপোর্ট ডেস্ক  : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশের মানুষের কাছে সাকা চৌধুরী হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার ব্যক্তি চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে, তুচ্ছ তাচ্ছিলের মুখচ্ছবি, বাঁকা হাসি, মুখরোচক বক্তব্য এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বাক্য ছোড়া।
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তির’  জন্য ব্যক্তি জীবনে এবং রাজনৈতিক জীবনে হয়েছিলেন বিতর্কিত ও আলোচিত।

বিভিন্ন সময়ে সাকা চৌধুরীর বলা মুখরোচক কিছু কথা

স্পীকারের অনুমতি মিয়ে সংসদে একবার বলেছিলেন
মাননীয় স্পিকার,আমি কি সংসদে কাউকে চোর বলতে পারি ? স্পিকার বলেন- “না পারেন না।” সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর উত্তর, “তাহলে আমি শেখ সেলিম সাহেবকে চোর বললাম না।”
সাকা চৌধুরী বিএনপির রাজনীতি করলেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতে ছাড়েননি। এ জন্য নিজ দলে নিন্দিত ও সমালোচিত হন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তালাকপ্রাপ্ত বউয়ের ঘর করি না আমি।’
তারেক রহমানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে খাদেলা জিয়া নিরব থাকার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে কুকুর লেজ নাড়ত, এখন লেজ কুকুরকে নাড়ায়।’
সংসদ গোরস্থানে পরিণত হয়েছে শুধু আগরবাতিদেয়া বাকি।
মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদেরের ছেলে সাকা চৌধুরী। তার জিহ্বা কখনো সংযত ছিল না। আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে সমালোচনায় থাকাটা ছিল তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
২০০৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা নিয়েও তীর্যক মন্তব্য করেন সাকা চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি গ্রেডেন ছুঁড়লে সেটা তো মিস হতো না।’
মাননীয় স্পিকার এদেশে নতুন একধরনের ডিজিটাল মেশিন আবিষ্কৃত হয়েছে, যার একপাশ দিয়ে রাজাকার ঢুকিয়ে দিলে, অন্য পাশ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হয়। আর সেই মেশিনটির নাম ডিজিটাল আওয়ামীলিগ মেশিন।
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘ছাত্রজীবনে শেখ মুজিব আমার বাবার শিষ্য ছিলেন।’ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তার পরিবারের ভালো যোগাযোগ ছিল- এমন দাবি করে তিনি এ কথা বলেন।
তার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে উসকে দিচ্ছে কেউ কেউ- এমন দাবি করে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ওই মহলটি জানে না, তারা যে বিলের মাছ, আমি সালাউদ্দিন ওই বিলের বক।’
প্রধানমন্ত্রী তীর্থে যাচ্ছেন দিল্লির লাড্ডুর আশায়।
নারী নির্যাতন সম্পর্কে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তিনি কেরানীগঞ্জের একজন প্রমোদবালক- এটা কি আমি কখনো বলেছি?’
সংসদে সাকা এক পর্যায়ে বলেছিলেন, “মাননীয় স্পিকার, আমিতো চোদনা হয়ে গেলাম”। স্পিকার এমন অশ্লিল কথা না বলার অনুরোধ করলে তিনি জবাব দেন, “আমি আবারও চোদনা হয়ে গেলাম”।
ওআইসির মহাসচিব পদে সাকা চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করে তৎকালীন বিএপি-জামায়াত জোট। এ নিয়ে সামলোচনা করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আর তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে গরল উগ্রে দেন সাকা চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, “বাবু ওআইসি নিয়ে কথা বলার কে? উনাকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে হলে, আমি ছোট বেলায় যে জিনিসটা কেটে ফেলে দিয়েছি, আগে ওই জিনিসটা কেটে ফেলতে হবে। তারপর বাবুকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে বলেন।”
শেখ হাসিনাকে নিজের ছেলের বিয়ের দাওয়াত দিতে গেলে হাসিনা গ্রেনেড মেরে তাকে হত্যা করতে যাওয়ার অপবাদ দেওয়ায় সাকা বলেন, ” আমি গ্রেনেড মারলে সেটাতো মিস হত না।”
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমার না হলে, ফাঁসি কারো হবে না।’
একই সালের ৩০ জুন আদালতে নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষীর বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক হলে আমিও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক।’
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রায় দেওয়া সময় সাকা চৌধুরী বিচারকের উদ্দেশ্য ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ‘তোমার বোনকে বিয়ে করার কথা ছিল, সেটা বল না?’ একই প্রসঙ্গে আরো বেশ কয়েক বার বিচারককে টার্গেক করে কটূক্তি করেন তিনি।
collected from:somoyerkonthosor